বিভিন্ন কারণে মানুষের কম প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে । এই লেখাটিতে আমরা জানবো কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের তালিকা ।
কিন্তু কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের তালিকা জানার আগে আমরা জানবো কার জন্য কম প্রোটিনযুক্ত খাবার অনেক জরুরী।
- কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের, বিশেষ করে যারা পরবর্তী পর্যায়ে বা ডায়ালাইসিস চলছে ।
- কিছু লিভারের অবস্থা, যেমন হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি বা সিরোসিস ।
- বিপাকের জন্মগত ত্রুটি ।
- শর্ট বাওয়েল সিনড্রোম বা ম্যালাবসর্পশন সমস্যার মতো অবস্থার ব্যক্তিরা হজমের চাপ কমাতে কম
- প্রোটিনযুক্ত খাবার থেকে উপকৃত হতে পারেন।

কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের তালিকা ।
নিচে কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের তালিকা দেওয়া হল আপনারা ভালো পরে উপযুক্ত পরামর্শ নিয়ে খাবার চেষ্টা করবেন।
ফল: আপেল, কমলা, কলা, স্ট্রবেরি, তরমুজ, পীচ এবং আঙ্গুর সহ বেশিরভাগ ফলের প্রোটিন কম থাকে।
শাকসবজি: অনেক সবজিতে প্রোটিন কম থাকে, যেমন ব্রকলি, ফুলকপি, পালং শাক, কেল, জুচিনি, শসা, গাজর এবং বেল মরিচ।
শস্য এবং সিরিয়াল: বেশিরভাগ শস্য এবং সিরিয়ালে প্রোটিন তুলনামূলকভাবে কম থাকে, যার মধ্যে রয়েছে চাল, ওটস, বার্লি, কুইনো, ভুট্টা এবং গম।
লেগুম: লেগুম সাধারণত উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিনের একটি ভাল উৎস, কিছু জাতের প্রোটিন তুলনামূলকভাবে কম। উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে সবুজ মটর, মসুর এবং কালো মটরশুটি।
বাদাম এবং বীজ: যদিও বাদাম এবং বীজে কিছু প্রোটিন থাকে, তবে তারা সাধারণত প্রাণী-ভিত্তিক প্রোটিন উত্সের তুলনায় কম প্রোটিন থাকে।
উদাহরণ বাদাম, আখরোট, সূর্যমুখী বীজ, এবং flaxseeds অন্তর্ভুক্ত।
দুগ্ধজাত বিকল্প: বাদাম দুধ, নারকেল দুধ এবং চালের দুধের মতো কিছু দুগ্ধজাত খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ কম থাকে।
চর্বি এবং তেল: চর্বি এবং তেল, যেমন অলিভ অয়েল, ক্যানোলা অয়েল এবং নারকেল তেলে প্রোটিনের পরিমাণ খুবই কম।
পানীয়: জল, ভেষজ চা এবং কিছু ফলের রসের মতো অনেক পানীয়তে স্বাভাবিকভাবেই প্রোটিন কম থাকে।
এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এই খাবারগুলিতে প্রোটিনের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম থাকলেও সেগুলিতে এখনও কিছু পরিমাণ প্রোটিন থাকতে পারে।
আপনার যদি নির্দিষ্ট খাদ্য তালিকাগত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা থাকে । তাহলে আপনার প্রয়োজনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত খাদ্য নির্ধারণের জন্য একজন স্বাস্থ্যসেবা নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ানের সাথে পরামর্শ করা সর্বদা ভাল।